ঢাকা সিটি কলেজ ছাত্র কাউন্সিল গঠন হওয়ার পর ঢাকা সিটি কলেজের প্রত্যেকটা শিক্ষক খুশী। কারণ কলেজ রাজনীতি মুক্ত হলো এবং তারা তাদের হারানো সম্মান ফিরে পেলেন। কাউন্সিলর বিদায়ের দিন শেরাটনের বাবুর্চি দিয়ে রান্না করানো হলো সে এক অন্য রকম ভালোলাগার দিন।

শিক্ষক কাউন্সিলর সবাই খুশী। হাফিজ স্যার প্রত্যেকটা টেবিল ঘুরে প্রত্যেকের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন।

এই বাঘের মত রাগী মানুষের মনে যে একটি নরম হৃদয় বাস করে সেদিন অনেকে এটা উপলব্ধি করেছে।

তার কিছু দিন পর কমার্সিয়াল জিওগ্রাফির শিক্ষক প্রফেসর নুর মুহাম্মদ জায়েদ স্যার বললেন তোরা এককাজ কর তোরা “ঢাকা সিটিয়ান ক্লাব’ নামে একটি প্লাট ফর্ম কর যাতে সিটি কলেজের সবাই একই ছাদের নিচে থাকতে পারে। সেই ১৯৯৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী এর প্রকৃত জন্ম হয়েছিল।মজার ব্যাপার হলো সেদিন স্যারের জন্মদিন ছিলো। আমি অনেক জায়গায় লিখেছি এই নামের ফাউন্ডার নূর মোহাম্মদ জায়েদ স্যার, আমি নই।

ঢাকা সিটি কলেজের অনেক গ্রুপ আছে। সকলের নিজস্ব কিছু উদ্দেশ্য ও স্বপ্ন আছে যেমনটি আমাদেরও আছে।

পর্যায়ক্রমে ঢাকা সিটি কলেজের সকল ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে একটি বিশাল প্লাটফর্ম করার ইচ্ছে আছে এই ক্লাবকে ঘিরে। এখানে অনেক শিক্ষক আমাদের অনুপ্ররণা দিচ্ছেন। ইচ্ছে মূলত সামাজিক কাজ করা ও একটি বড় কিছু করে যাওয়া যা আমরা স্মৃতিতে নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি।

আজ ৩৪ বছর পরও আমাদের প্রাণপ্রিয় অধ্যক্ষ অধ্যাপক হাফিজ স্যারের ভালোবাসা ভুলতে পারিনি। আমি ও রাজ্জাক চাচ্ছিলাম কলেজের বাইরে ঢাকা সিটি কলেজের এক্স ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটা শক্ত প্লাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য যেমন নটর ডেমিয়ান,গ্রেগোরিয়ানদের যেমন আছে।

‘৯৩:সালে কাউন্সিল শেষে আমাদের এডমিট কার্ড দেওয়ার প্রাক্কালে ১২ই ফেব্রুয়ারী নূর মুহাম্মদ জায়েদ স্যার ঢাকা সিটিয়ান ক্লাব করার যে পরামর্শ করে ছিলেন তা আমাদের মতের সাথে মিলে গেলো । নৈতিক ভাবে আমরা সেদিনই ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছি। সবাই যার যার মত জীবন যুদ্ধে হারিয়ে গেলো আর এগুতে পারলাম না।

স্বপ্ন বারবার আমাদের তাড়িত করে এবছর তারই ধারাবাহিকতায় ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং সালে ষ্টার কাবাব ধানমন্ডিতে ৩০ তম বার্ষিকী উৎযাপন করেছি, এই অনুষ্ঠানের নেপথ্যে জায়েদ স্যার, কাউন্সিলর জাকির, মোহন, বন্ধু ফারুক আহমেদে, আরিফুল ইসলামের নাম না বললেই নয়।

আরো অনেকে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ভাবে সহযোগিতা করেছে। সকলের প্রতি হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

এখনো ঢাকা সিটিয়ান ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুদূর আমেরিকা থেকে নূর মুহাম্মদ জায়েদ স্যার সহযোগিতা করছেন। আমি ও রাজ্জাক কচ্ছপের গতিতে এগুচ্ছি, বন্ধুদের সাথে আলোচনা করছি,স্যারদের সাথে আলোচনা করছি।

যেহেতু এই স্বপ্নটা আমরাই লালন করেছি তাই ভেবে চিন্তে এগুচ্ছি। নতুন প্রজন্মকে একটি নিরাপদ যুগোপযোগী প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়ে যেতে পারলে নিজেদের জন্মটা ধন্য মনে হবে।

এই প্লাটফর্ম তৈরি মোটেও সহজ কার্য নয়,প্রয়োজন আর্থিক সহযোগিতা, উন্নত পৃষ্টপোষকতা ও সদিচ্ছা এবং গ্রুপ ওয়ার্ক। সবকিছুর সমন্বয়েই চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব। মহান স্রষ্টা আমাদের এতটুকু এনেছেন ইনশাআল্লাহ আমরা একদিন লক্ষেও পৌঁছে যাব। এর জন্য চাই সহযোগিতা ও পবিত্র, গঠনমূলক পরামর্শ যা আমাদের কাজকে সহজ থেকে সহজতর করবে।

ধন্যবাদান্তে,
ঢাকা সিটি কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজ ছাত্র কাউন্সিলের পক্ষে,

মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক
ফাউন্ডার কাউন্সিলর,
ঢাকা সিটি কলেজ ছাত্র কাউন্সিল।
আহবায়ক
ঢাকা সিটিয়ান ক্লাব।
ব্যাচ – ৯১ এইচএসসি
ডিগ্রী – ৯৩

মুহাম্মদ নাভেদ হোসেন
ফাউন্ডার কাউন্সিলর,
ঢাকা সিটি কলেজ ছাত্র কাউন্সিল।
যুগ্ন- আহবায়ক
ঢাকা সিটিয়ান ক্লাব।
ব্যাচ – ৯১ এইচএসসি
ডিগ্রী – ৯৩